দেখতে অনেকটা হরিণের মতো; কিন্তু প্রাণীটি আসলে একটি ইঁদুর। এমন অদ্ভুত-দর্শন প্রাণীর দেখা মিলল ভিয়েতনামের উত্তর-পশ্চিম দিকের একটি জঙ্গলে।
সেই প্রাণীটির ভিডিও ধারণ করেছেন ওই বনের কর্মকর্তারা। তা দ্য গার্ডিয়ানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে।
সেই সুবাদে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও ভাইরাল হয়েছে এই ইঁদুর-হরিণ মিশ্রণের আজব প্রাণীর।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ছোট হরিণের মতো দেখতে প্রাণীটি খরগোশের আকারের। বনের পড়ে থাকা শুকনো পাতার ফাঁকে খাবারের সন্ধান করছে সে।
গত সোমবার (১১ নভেম্বর) 'নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভলিউশন’ এই প্রাণিটিকে নিয়ে একটি প্রবন্ধ প্রকাশ করেছে।
সেখানে প্রাণী বিশেষজ্ঞরা এই অদ্ভুত-দর্শন প্রাণীটির নাম দিয়েছেন রুপালি পিঠের শেভ্রোটাইন বা মাউস-ডিয়ার, বাংলায় ইঁদুর-হরিণ।
তারা বলছেন, এ প্রাণীটি বিরল প্রজাতির ও বিলুপ্তির পথে। চোরা শিকারিদের কারণেই প্রাণীটি বিলুপ্তি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। প্রায় ৩০ বছর আগে একই জঙ্গলে এর দেখা মিলেছিল। শেষবার এটি ১৯৯০ সালে দেখা গিয়েছিল বলে জানান তারা।
১৯১০ সালে প্রথমবার দেশটির হোচিমিন সিটি থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরে নেহ ট্র্যাংয়ের কাছে একটি বনাঞ্চলে এই মাউস-ডিয়ার দেখা মেলে।
এর পর পেরিয়ে যায় ৮০ বছর। এই কয়েক যুগের মধ্যে কোনো আলোচনাতেই আসেনি প্রাণীটি। একে কেউ দেখেওনি। কিন্তু ১৯৯০ সালে হঠাৎ ভিয়েতনামেই দেখা মেলে এমন একটি প্রাণীর।
তবে ওই বনের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিজ্ঞানীদের চোখে ধরা না দিলেও তাদের কেউ কেউ ইঁদুর-হরিণ প্রাণীটি দেখেন। জঙ্গলে এর অস্তিত্ব টের পান তারা।
তবে জঙ্গলের অধিবাসীদের এমন দাবির প্রমাণ পাননি প্রাণিবিজ্ঞানীরা। তাদের কথা মাথায় রেখেই ভিয়েতনামের দুই প্রাণিবিজ্ঞানী এই মাউস-ডিয়ারের সন্ধানে নামেন। অধিবাসীদের কথামতো জঙ্গলের যে অঞ্চলে তাদের বসবাস রয়েছে, সেখানে ৩০টি মোশান-অ্যাকটিভ ক্যামেরা বসান তারা। ব্যর্থ হননি এ দুই বিজ্ঞানী। সেসব ক্যামেরায় ধরা পড়ে এই বিরল প্রজাতির ইঁদুর-হরিণের ছবি।
ইঁদুর-হরিণ নামের এই প্রাণীর বসবাস ভিয়েতনাম ছাড়া আর কোথায় আছে কিনা তার খোঁজে নেমেছেন প্রাণিবিজ্ঞানীরা।
দেখুন সেই ইঁদুর-হরিণ নামের প্রাণীটি -